একা একা বেড়ানো আমার ভালো লাগে। প্রকৃতির মাঝে সম্পূর্ণ বিলীন হওয়া যায়। প্রকৃতিকে অবলোকন করা যায় গভীরভাবে। চিরচেনা প্রিয় জায়গাকে সদা নতুনভাবে খুঁজে পাওয়া যায়।
আব্বু-আম্মু আমার একা কোথাও যাওয়া পছন্দ করে না। আমি সাধারণত কাউকে কিছু না বলেই যাই। না বলে যাওয়াতে একবার কি হলো, ২০০২ সালের দিকের কথা। এটি ঠিক একা না, বন্ধুদের সাথে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা। কোরবানি ঈদের দিন বিকালে আমি, রবিন, রুমান আর সেলিম ঠিক করলাম রুমানদের খালার বাড়িতে বেড়াতে যাবো। যেই কথা সেই কাজ, রিকশা করে চারজন চলে গেলাম (জায়গার নাম বললাম না)। তবে বাসায় আম্মু ছিলনা তখন, আম্মু থাকলে যেতে দিত না, ফুপিকে কোনমত বলেছিলাম বেড়াতে গেলাম।
ওদিকে খালার বাড়িতে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত হলো রাতটা থাকা হবে। কারণ ততক্ষণে সন্ধ্যা লেগে গিয়েছিল। রিকশা ছাড়ার পর দীর্ঘ বালুময় পথ হেঁটে বাড়ির উঠানে পৌঁছাতে হয়েছে। রুমানের আম্মু জিজ্ঞেসা করেছিলেন বলে এসেছি কিনা। আমি বলে এসেছি বলেছিলাম। রুমানের আম্মু রাতে থাকেননি, জামালপুর ফিরেছিলেন।
ওদিকে জানলো বলে এসেছি কিন্তু এদিকে তো আসলে জানে না। আম্মু কেঁদেকেটে অস্থির, আমি হারিয়ে গেছি। সবাই অনেক খোঁজাখুঁজি করল। মাইকিং করার জন্য মাইক রেডি, তখন রুমানের আম্মু ফিরে দেখেন এই অবস্থা। উনার কাছেই সবাই জানতে পারলো আমি আসলে কোথায়।
বন্ধুরা মিলে মজা করছি, এখানের খবর তো আর জানতে পারছিলাম না, মোবাইলের যুগ আসেনি তখন। বাড়িতে ফেরার পর সব জানতে পেলাম আর প্যারা খেলাম।
অহ যাই হোক, সে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। যতই এমনটি ঘটুক বা নিষেধ মানা আসুক আমাকে কেউ বেঁধে রাখতে পারবে না। আমি প্রকৃতির কাছে নদীর কাছে বারবার ফিরে যাবো। আমি যথেষ্ঠ বড় হয়েছি, আমি আর ছোট্টটি নেই।
(এটি কয়েক বছর আগে ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাস। আজ এই ব্লগে সংযুক্ত করলাম! কেমন লাগলো লেখাটি, পড়ে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ সকলকে।)
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন!