আপনাকে স্বাগতম!

আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ।

জামালপুর : ‘নান্দিনায় অস্তিত্ব সংকটে সন্ন্যাসী খাল’ -এটিসহ ৩টি উল্লেখযোগ্য খবর

সত্যের সন্ধানে প্রতিদিনের শিরোনাম নান্দিনায় অস্তিত্ব সংকটে সন্ন্যাসী খাল। বলা হচ্ছে জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের নান্দিনার সন্যাসী খালের কথা। সংকোচিত হতে হতে যে খালটি আজ নালায় পরিণত হয়েছে।

লেখাটি ঠিক প্রতিবেদন নয়। গল্পের ঢংয়ে ইতিহাস বলেছেন লেখক ও সাংবাদিক ছাইদুর রহমান। একসময়ের গৌরবময় অতীত বহন করে এখন এক বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। এই খাল শুধুমাত্র একটি জলপথই ছিল না, এটি ছিল একটি সমাজের ইতিহাস, সংগ্রাম এবং পরিবর্তনের সাক্ষী। 

লেখাটি পড়ে মনে হয়, আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রায় হারিয়ে ফেলছি, একটি অতীত যা আমাদের ভবিষ্যতকে আরও সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারত।


আজকের পত্রিকার একটি প্রতিবেদন বেশ আলোচিত হয়েছে। শিরোনাম ফুটপাত না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

প্রতিবেদনটি পড়ে জানা যাচ্ছে, জামালপুর শহরের ফুলবাড়িয়া জিগাতলা এলাকায় জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এক পাশে ফুটপাত না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এই অঞ্চলে প্রাথমিক স্কুল, কলেজ, মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থাকায় সারাদিনই লোকজনের চলাচল থাকে। ফুটপাত না থাকায় সকলেই মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন, ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে। একই সাথে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির সময় ওভারপাস ও রাস্তার সব পানি সড়কসংলগ্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ফুটপাত নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

তবে জামালপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নওয়াজিস রহমান বিশ্বাস স্পষ্ট করেছেন যে, যেখানে ফুটপাত ও ড্রেন নির্মাণের দাবি উঠেছে, সেই জায়গার জমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে নেই। অর্থাৎ, তারা সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ করার জন্য আইনগতভাবে বাধ্য নয়। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, ভবিষ্যতে যদি সেই জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়, তাহলেই সেখানে ফুটপাত ও ড্রেন নির্মাণের কাজ করা হবে।


এছাড়াও স্থানীয়সহ কিছু জাতীয় দৈনিকে আসা আরেকটি খবর আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। ইসলামপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুল চলে ভাড়াটে শিক্ষক দিয়ে - বাংলারচিঠিডটকমের শিরোনাম এটি।

জামালপুরের ইসলামপুরের রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থার এক ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দীর্ঘদিন অনুপস্থিতি এবং ভাড়াটে শিক্ষক দিয়ে পাঠদানের ঘটনা শিক্ষার মান নিম্নমুখী হওয়ার এক প্রত্যক্ষ প্রমাণ।

এই ঘটনা শুধু শিক্ষকের দায়িত্বহীনতার প্রমাণ নয়, এটি প্রশাসনিক ব্যর্থতারও এক জ্বলন্ত প্রমাণ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং অবহেলাই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঠাট্টা করছে। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে দেওয়া কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।

এই ঘটনা আমাদের সকলকে ভাবিয়ে তুলতে বাধ্য করে যে, আমরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষা একটি দেশের মেরুদণ্ড। একটি জাতির উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি শিক্ষা। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তিকে দুর্বল করে তুলছে।

মনন মাহাদি : চিফ এভরিথিং অফিসার. জামালপুরিয়ান

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন!

Post a Comment

আগের পোস্ট পরের পোস্ট

نموذج الاتصال