জামালপুরিয়ানে আপনাকে স্বাগতম প্রিয় পাঠক বন্ধু |

জামালপুরে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস উদযাপিত


‘এসো প্রাণের ছোঁয়ায় গড়ি রক্তের বন্ধন, চোখের জ্যোতি হয়ে উঠুক প্রাণের স্পন্দন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জামালপুরে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ৩ নভেম্বর রবিবার সকালে দিবসটি উপলক্ষে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সকালে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মুহা. মাহফুজুর রহমান, মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গাজী মো. রফিকুল হক, জামালপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উত্তম কুমার সরকার, মেডিকেল অফিসার ডা. স্বাগত সাহা, জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান, রক্তের বন্ধনের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়া আলম আসাদসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন, বাকী রক্তের চাহিদা অবৈধভাবে কেনাবেচার মাধ্যমে পূরণ করা হয়। বছরে মাত্র দশ লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হলেও আমরা সে চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। তাই আমাদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে, স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদানে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং এগিয়ে আসতে হবে।

তারা আরও বলেন, পাশাপাশি মরণোত্তর চক্ষুদানের ক্ষেত্রেও আমাদের আগ্রহ অনেক কম। আমাদের দেশের রোগীদের জন্য অন্য দেশ থেকে কর্নিয়া এনে প্রতিস্থাপন করা হয়, কিন্তু এই ব্যাপারটি বেশ জটিল। সেজন্য এখনই আমাদের মরণোত্তর চক্ষুদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।

পরে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে রক্তদান করেন স্বেচ্ছাসেবকেরা।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন!

Post a Comment

আগের পোস্ট পরের পোস্ট

نموذج الاتصال