হারিয়ে গিয়ে জামালপুরে চলে আসা বাগেরহাটের শিশু নাঈমকে (১০) জামালপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে ৩ মার্চ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বাবা বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার মধ্যম তেলিগাতি গ্রামের দরিদ্র শ্রমিক নুর আলম মোল্লা। তার বাবা তার কর্মস্থল ঢাকার সাভারে বেড়ানোর জন্য তাকে নিয়ে গেলে গত ২৫ জানুয়ারি সে হারিয়ে যায়।
হস্তান্তরের সময় উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, সংস্থার আইআইআরসিসিএল প্রকল্পের আরজু মিয়া, শেখ রাসেল প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সমাজকর্মী আরমান আলী ও প্যারামেডিক শারমিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
উন্নয়ন সংঘ সূত্র জানায়, গত ২৫ জানুয়ারি ছেলেটিকে কান্নারত অবস্থায় জামালপুর দয়াময়ী মোড় থেকে উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। উন্নয়ন সংঘের আইআইআরসিসিএল প্রকল্পের পক্ষ থেকে আরজু মিয়া সাধারণ ডায়েরি করে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়।
শেখ রাসেলের আরমান আলী জানান, দীর্ঘ একমাসের অধিক সময় ধরে নানা প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধান করে আমরা শিশুটির অভিভাবকের সন্ধান পাই। তার বাবা নুর আলম মোল্লাকে খবর দিলে ৩ মার্চ তিনি জামালপুর আসেন। উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে শিশুটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
শিশুটির বাবা নুর আলম জানান, তিনি ছেলেটিকে তার কর্মক্ষেত্র ঢাকার সাভারে বেড়ানোর জন্য নিয়ে আসেন। গত ২৫ জানুয়ারি হঠাৎ করে বাড়ি থেকে কাউকে না বলে বেরিয়ে আসলে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে আরমান ভাইয়ের ফোন পেয়ে জামালপুর এসে ছেলেকে ফিরে পেলাম। তিনি তার ছেলের সুরক্ষার জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি না হলে এই ধরনের অবুঝ শিশুরা মারত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়তেই থাকবে। তিনি নিজের সংস্থার আইআইআরসিসিএল প্রকল্প এবং শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এদের কারণে বিপদাপন্ন শিশুরা বিপদের হাত থেকে রক্ষা পায়।
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন!