ফেসবুকে পোস্ট করা চানাচুর মুড়ি আর চায়ের ছবিটা |
এমন না যে চানাচুর মুড়ি প্রথম খেলাম। চাও তো প্রতিদিনই হয়। তবে ব্যাপারটা হলো গিয়ে ছবি তোলা হলো বহুদিন পর। আর ফেসবুকে পোস্ট করাতে দেখতেও পেল সবাই।কয়েকজন বন্ধু স্বজন গুরুজন মন্তব্যও করেছেন ছবিটিতে। মূলত মন্তব্যগুলোর জন্যই এই লেখাটি।
ইদানিং আসলে ছবি তোলার প্রতি আবার নতুন করে ভালোবাসা হচ্ছে। তবে পাবলিক ছবি তোলার সাহস এখনও হয়ে ওঠেনি। দেখা যাক সামনে কি হয়।
রাতে অফিস থেকে ফেরার পর ভাবলাম চানাচুর মুড়ি খাই। আর প্রথম ছোটবোন চা বানানোর আয়োজন করছিল। আমিও বললাম খাবো। বাসায় মুড়ি ছিলই। ছোটবোনকে দিয়ে দোকান থেকে রুচি চানাচুর আনালাম। ১০টাকা দামেরটা।
পরে পেয়াজ, মরিচ, রসুন কাটলাম। ছবিতে একটি মরিচের টুকরো হয়তো দেখতে পারছেন কি অবস্থা। তারপর বাটিতে সব নিয়ে একটু সরিষার তেল যোগ করে ভালো করে হাত দিয়ে মাখিয়ে তৈরি করে নিলাম। হাত ধুয়ে চামচ দিয়ে খাওয়া হলো বুঝতেই পারছেন।
চা ছোটবোন বানিয়েছে। সিমলা প্রিমিয়াম ব্লেন্ড টি ব্যাগ। ড্যানিশ ফুড লিমিটেডের। আগে ইস্পাহানি খাওয়া হতো। ইস্পাহানির চেয়ে সিমলার ব্লেন্ড আসলেই ভালো। আর সাথে যোগ করা হয়েছে ড্যানিশের গুঁড়া দুধ। টি ব্যাগের চা বানানো বেশি ঝামেলা না। শুধু গরম পানি হলেই হলো।
পাঁচটা ছবি আসলে খাওয়া শুরু করার আগে তুলেছি রেডমি ৫ মুঠোফোন সেট দিয়ে। তারপর খাওয়া শুরু করে একটি ছবি স্ন্যাপসিড অ্যাপ দিয়ে কিছুটা সম্পাদনা করেছি। বেশি কিছু না ক্রপ আর সাচুরেশন টিউন করে শতভাগ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এতে রংয়ের প্রবলতা বেড়েছে।
আর চায়ে যে হার্ট এর চিহ্নটা হয়েছে সেটা কোনো প্রকার এডিট করা হয়নি। এটি সম্পূর্ণ আলোর প্রতিফলনের জন্য তৈরি হয়েছে। ফ্ল্যাশ দিয়ে ছবিটি নেওয়া হয়েছিল।
এই হচ্ছে সর্বশেষ ব্যাপার। ১২ জুলাই শুক্রবার থেকে আমার বিএসএস পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। সবাই দোয়া করবেন যাতে পরীক্ষায় ভালোভাবে অংশ নিতে পারি।
ধন্যবাদ, শুভরাত্রী
সবার জীবন পাইয়ের (π) মত সুন্দর হোক।
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন!