চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার গ্রহণ করে নতুনকুঁড়ি রেসিডেনসিয়াল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সৃজিতা চক্রবর্তী তুষ্টি। ছবি : মোস্তফা মনজু |
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান। জেলা প্রশাসক বলেন, মাদকদ্রব্য মানুষের ভালো চিন্তা শক্তিকে ধ্বংস করে দেয়। একটি সর্বনাশা অভ্যাস। একটা পর্যায়ে মাদক মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। তাই ছাত্র-যুবসমাজকে মাদকের কুফল সম্পর্কে জানতে হবে। মাদকবিরোধী রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদকের কুফল সম্পর্কে জানার আগ্রহ বাড়ে। তারা মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস সঞ্চার করতে পারে। তারা যেন মাদক থেকে দূরে থাকে সেই দিকে সবাইকে বিশেষ করে অভিভাবকদের বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান। |
তিনি আরও বলেন, মাদক নির্মূলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, বিজিবি, র্যাব থেকে শুরু করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সবাই সজাগ আছে। মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদক নির্মূলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমী আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুল হক, জামালপুর মাদকনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হালিম রাজ প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান রহমতুল্যাহ রিমুসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাচিক শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মী রবিউল ইসলাম রাসেল।
রচনা প্রতিযোগিতায় পুরস্কার গ্রহণ করে সিংহজানী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মরমি মাথিন। |
এর আগে মাদকদ্রব্যের অপব্যহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ভিডিও তথ্যচিত্র সভায় অংশগ্রহণকারীদের দেখানো হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত তিনটি বিভাগে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র, বই ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. সফিউর রহমান ও বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।
রচনা প্রতিযোগিতায় বিশেষ পুরস্কার গ্রহণ করে সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজের ছাত্রী তিশা রানী দাস। |
মাদকবিরোধী রচনা প্রতিযোগিতায় ক-গ্রুপে প্রথম হয়েছে জাফরিন জাহান, দ্বিতীয় মরমি মাথিন ও তৃতীয় হয়েছে তাসনিয়া মনিষা। খ-গ্রুপে রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে সিফাত মাহমুদ, দ্বিতীয় হয়েছে সাঈদ হাসান রাজু এবং যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে আদ্রিতা আফরিন ও মাহি মোস্তাহী মোহনা। গ-গ্রুপে রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে শারমিন, দ্বিতীয় হয়েছে মোছা. সাবিহা এবং তৃতীয় হয়েছে আফসানা মিহি। এই গ্রুপে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে তিশা রানী দাস।
অপদিকে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ক-গ্রুপে প্রথম হয়েছে রাইয়ান উদ্দিন, দ্বিতীয় সৃজিতা চক্রবর্তী তুষ্টি ও তৃতীয় হয়েছে মারিয়া জান্নাত। খ-গ্রুপে প্রথম হয়েছে রাফিয়াত রিচি, দ্বিতীয় মাহতাব হোসাইন ও তৃতীয় হয়েছে মির্জা আল আবিদ সাফল্য। গ-গ্রুপে প্রথম হয়েছে শাহরিয়া আক্তার জুঁই, দ্বিতীয় মোস্তাফিজুর রহমান তানজিম ও যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে মরিয়ম ইসলাম মুক্তি ও মিম আক্তার। ঘ-গ্রুপে প্রথম হয়েছে রাফিদা, দ্বিতীয় মুশরাফি নেওয়াজ ও তৃতীয় হয়েছে জান্নাত।সূত্র:বাংলারচিঠিডটকম