জামালপুরিয়ানে আপনাকে স্বাগতম প্রিয় পাঠক বন্ধু |

খাতেমুন মঈন মহিলা কলেজ অধ্যক্ষের হুমকি, থানায় অভিযোগ করলেন সাংবাদিক কাফি

বকশীগঞ্জ খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও অধ্যক্ষ

সূত্র:
বাংলারচিঠিডটকম

সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশের জন্য দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়োগবাণিজ্যের তথ্য চাওয়াকে কেন্দ্র করে হুমকি দেওয়ায় বকশীগঞ্জ খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদারের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন দৈনিক মানবকণ্ঠের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক কাফি পারভেজ। ২০ আগস্ট মঙ্গলবার তিনি এই অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, সাংবাদিক কাফি পারভেজ ১৯ আগস্ট সোমবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে তিনি তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য বকশীগঞ্জ খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজে যান। ওই কলেজের অধ্যক্ষ বজলুল করিম তালুকদারের অফিস কক্ষে গিয়ে দেখতে পান কলেজের শিক্ষকগণ এবং কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের দুই মেয়াদের দাতা সদস্য মো. মোফাখখার হোসেন খোকন ও মো. আব্দুল্লাহ আল সাফি লিপনসহ অনেকেই বসে আছেন। তিনি সেখানে উপস্থিত হয়ে তার দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকায় খবর প্রকাশের জন্য বিভিন্ন তথ্য জানতে চান। এ সময় বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও অধ্যক্ষ বজলুল করিম তালুকদার সাংবাদিক কাফি পারভেজের প্রতি ক্ষীপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এর আগে বিভিন্ন সময়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকাসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম, আত্মীয়করণের মাধ্যমে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ গঠন, জালিয়াতি ও ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে শিক্ষকদের নাম এমপিও ভুক্ত, প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব অবৈধভাবে খুলে একক স্বাক্ষরে টাকা আদান-প্রদান, নিয়োগবাণিজ্য, বিভিন্ন পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে অবৈধভাবে অর্থ আদায়, অবৈধভাবে উপার্জিত টাকায় ক্রয়, ৪০ লাখ টাকা মূল্যের প্রাইভেট গাড়ি কেনার টাকার উৎস, বিলাসি জীবনযাপন, কলেজের কিছু শিক্ষককে হাত করে জঘন্য ও ঘৃণিত কাজের সাথে সম্পৃক্তসহ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা দুনীর্তির খবর প্রকাশিত হয়।

কলেজের নানা অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়ে আরও কিছু তথ্য জানার প্রয়োজনে সাংবাদিক কাফি পারভেজ চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার তথ্য অধিকার (তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত) বিধিমালার বিধি ৩ এর ফরম “ক” পূরণ করে তথ্য প্রাপ্তির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ এসব তথ্য তাকে দেননি। ১৯ আগস্ট পুনরায় ওইসব তথ্য চাইলে সাংবাদিক কাফি পারভেজের ওপর ক্ষীপ্ত হয়ে মারমুখী হয়ে উঠেন। তথ্য সংগ্রহের পরবর্তী সময়ে কলেজে গেলে সাংবাদিক কাফি পারভেজকে নিজস্ব ভাড়া করা গুন্ডাবাহিনী দিয়ে মেরে ফেলারও হুমকি দেন এবং কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য তার অফিসকক্ষের বাইরে অবস্থানকৃত তার সাথে আসা লোকজনদের নির্দেশ দেন।

সাপ্তাহিক রাঙা পলাশ সম্পাদক ও প্রকাশক এবং জামালপুর প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক কাফি পারভেজ এ প্রতিবেদককে বলেন, অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন উপদেষ্টা। সেই ক্ষমতার দাপটে বিভিন্ন সময়ে অধ্যক্ষ আমাকে হুমকি দিয়ে আসছেন। ১৯ আগস্ট দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়ার ঘটনায় আমাকে হয়রানি করার জন্য বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাচ্ছেন অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষ শুধু হুমকি দিয়েই ক্ষান্ত হননি। আমাকেসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় বানোয়াট অভিযোগ করেছেন। এতে আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে আমি ২০ আগস্ট অধ্যক্ষ বজলুল করিম তালুকদারের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছি। থানা কর্তৃপক্ষ আমার অভিযোগ সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করেছেন (নং ৭৩৯)।

এদিকে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান এ প্রতিবেদককে বলেন, সাংবাদিক কাফি পারভেজের অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Post a Comment

আগের পোস্ট পরের পোস্ট

نموذج الاتصال