আপনাকে স্বাগতম!

আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ।

৪৬০ কোটি টাকায় হবে জামালপুর-চেচুয়া-মুক্তাগাছা মহাসড়ক

আজিজুর রহমান ডল

জামালপুর-চেচুয়া-মুক্তাগাছা-ময়মনসিংহ হয়ে রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথের যোগাযোগ উন্নয়নে লাখ লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি জামালপুর-চেচুয়া-মুক্তাগাছা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখলো। জনগুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক উন্নয়নের জন্য একনেকের সভায় ২৭ ফেব্রুয়ারি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ৪৬০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। একই সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় জামালপুর জেলায় বন্যা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসনের জন্য আরও ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর শেরে বাংলানগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ-একনেকের সভায় সারা দেশে ১৭ হাজার ৯৮৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে জামালপুরের ৪৬০ কোটি ও ২০০ কোটি টাকার পৃথক দু’টি প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে। একনেক সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, জামালপুর-চেচুয়া-মুক্তাগাছা-ময়মনসিংহ হয়ে রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সড়কটি একদিকে ভেঙে গেছে। অন্যদিকে সরু হওয়ায় মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা এবং জামালপুরের কয়েক লাখ মানুষের যাতায়াতের এই দুর্ভোগ লাঘবে জোড়াতালির কাজ হাতে না নিয়ে দীর্ঘদিন যাতে টিকে তা ভেবেই এই প্রকল্পটি হাতে নেন। সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় এই সড়কটিকে মহাসড়ক প্রকল্পভুক্ত করা হয়েছে। জামালপুর থেকে মুক্তাগাছা পর্যন্ত প্রায় ৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়কটি হবে ৩০ ফুট প্রশস্ত। এর মধ্যে মূল রাস্তা থাকবে ২৪ ফুট প্রশস্ত। এই মহাসড়কটির কয়েকটি স্থানে বিশেষ করে যেখানে যেখানে বাঁকাতেরা আছে তা সোজা করা হবে। এই মহাসড়কটি জামালপুর-শেরপুর ব্রহ্মপুত্র সেতুর সাথেও সংযোগ থাকবে। এতে করে ব্রহ্মপুত্র সেতু থেকে যানবাহন অনায়াসে এই মহাসড়কে নেমে যেতে এবং একইভাবে উঠে শেরপুর হয়ে বকশীগঞ্জ যেতে পারবে।

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম আশা প্রকাশ করে বলেন, জামালপুর জেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামালপুর জেলাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। জামালপুর জেলাকে উন্নত জেলায় রূপান্তরের অংশ হিসেবে এই সড়কটির একটি নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আশা করি চলতি অর্থ বছরের মধ্যেই এই মহাসড়কের কাজ শুরু করা যাবে। এই মহাসড়ক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে জামালপুর অঞ্চলের মানুষের যেমন সময় কম লাগবে। খুবই কম সময়ের মধ্যে নিরাপদে রাজধানী ঢাকায় যাওয়া আসা করা যাবে। অন্যদিকে জামালপুরের ব্যবসায় অঙ্গন ও পণ্য পরিবহনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

তিনি আরও বলেন, একই সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় জামালপুর জেলায় বন্যা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসনের জন্য আরও ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। এই প্রকল্পটির কাজও চলতি অর্থবছরের মধ্যেই শুরু করা যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে প্রকল্প দু’টির অনুমোদন দেওয়ায় তার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

উল্লেখ্য, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জামালপুরে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদের মধ্যে সারা জেলায় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের মধ্যে অনেকগুলোই বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আরও কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন!

Post a Comment

আগের পোস্ট পরের পোস্ট

نموذج الاتصال