যমুনা নদীতে গাইবান্ধার বালাশী ঘাট থেকে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার নৌরুট এবং দুই প্রান্তে টার্মিনাল তৈরির কাজ শেষ হয় ২০২১ সালের জুনে। পৌনে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প শেষে ফেরি চলাচলের কথা থাকলেও নাব্য সংকটে এক দিনও তা চলেনি। এর পর কিছুদিন লঞ্চ চললেও বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছে, যমুনার ওই স্থানে এত বড় নৌপথ চালু রাখা প্রায় অসম্ভব। এটি জানা সত্ত্বেও জনগণের টাকা লুটপাট করতে প্রকল্পটি নেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, যমুনার দুই পাড়ে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে ময়মনসিংহ এবং রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে এখানে একটি নৌরুট প্রয়োজন। ব্রিটিশ আমল থেকে গাইবান্ধার তিস্তামুখ-বাহাদুরাবাদ নৌপথ চালু ছিল। উত্তরাঞ্চল থেকে রাজধানীতে যাতায়াতে দু’পাশে ছিল রেললাইনও। চলাচল করত ফেরি। ১৯৯০ সালে নাব্য সংকটে তিস্তামুখঘাটটি স্থানান্তর হয় বালাশীতে। এর পর যমুনা বহুমুখী সেতু চালুর পর ২০০০ সাল থেকে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে স্থানীয়দের যাতায়াতের পাশাপাশি সংকট বাড়ে পণ্য আনা-নেওয়ায়। কারণ, সড়কপথে যমুনা সেতু হয়ে এই দুই ঘাটের দূরত্ব ২৮৭ কিলোমিটার।...