১৭ মার্চ রাতে এই প্রথম মালাই চা খেলাম। প্রথম মানে বুঝতেই পারছেন এর আগে খাইনি। নাক ছিটকাতাম আরকি। তবে খেয়ে বুঝা গেল ভালো জিনিস।
নাহিদ ঢাকা থেকে জামালপুরে এসেছিল আর সাথে ছিল কাউসার। কাউসার অবশ্য লাল চা খায় আগে থেকেই। রাত নয়টার পর অফিস থেকে চলে যাচ্ছিলাম। আমি চিন্তা করতে করতে হাঁটছি যে নাহিদকে একটা ফোন দেই, পানির ট্যাংকি এলাকায় থাকলে দেখা করা যায়। ঠিক সেই মুহূর্তে নাহিদেরই ফোন এল।
- আসসালামু আলাইকুম!
- ওয়া আলাইকুম আসসালাম!
- মনন ভাই কেমন আছো?
- ভালো। তুমি কোথায়?
- আমি তো আছি গেইটপাড়, তুমি কই?
আমি বুঝতে না পেরে জিজ্ঞাসা করলাম আবার, কোন জায়গায়?
- গেইটপাড়ে আছি মনন, গেইটপাড়ে।
- ওহ, আমি লম্বা গাছ এলাকায়।
- এদিকে আসো আসো, চায়ের দোকানে আছি। আবুল চাচার চা।
- আচ্ছা থাকো, আমি আসতাছি।
এই ছিল কথোপকথন। তো গেইটপাড়ের যানজট গলিয়ে গিয়ে আবুল চাচার চা দোকানে নাহিদ আর কাউসারের সাথে বহুদিন পর দেখা হলো। কুশল বিনিময় হলো। আলাপ হলো। চা টাও তখন খাওয়া গেল। মালাই চা।
নাহিদের সামনে তো আর বলা যায় না যে খাই না। তাই জোর করেই খেলাম, যদিও একটু সময় বেশি লাগলো। এই হচ্ছে প্রথম মালাই চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা। বেশি কিছু বলতে চাই না, খাওয়ার পর এক কথায় অসাধারণ লাগলো।
এর আগে সৈয়দ শামীম জামান আংকেল ধই খাইয়ে ছিলেন। খুব ভালো লেগেছিল। কিন্তু এর আগে এবং পরে জিনিসটা আমি খেয়ে দেখিনি।
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন!