আপনাকে স্বাগতম!

আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ।

দরিদ্রদের খাবার বিতরণে আমেরিকা প্রবাসী জুরিস ডক্টর রাফি ইসলামের মহতী উদ্যোগ

ফাস্ট ফর হাঙ্গার প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ করেন ইউএনও ফরিদা ইয়াসমিন ও জুরিস ডক্টর রাফি ইসলাম।
আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক জুরিস ডক্টর রাফি ইসলামের মহতী উদ্যোগে পরিচালিত ফাস্ট ফর হাঙ্গার প্রকল্পের বিনামূল্যে দরিদ্রদের মাঝে ৫০ হাজার বেলার খাদ্য বিতরণ পূর্তি জামালপুরে বেশ সাড়া ফেলেছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পটির আওতায় ৫০ হাজার বেলার খাদ্য বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা গত মার্চে অর্জিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ১১ মে সকালে জামালপুর শহরের মেডিক্যাল রোডে জুরিস ডক্টর রাফি ইসলাম তার নিজ বাসভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াসমিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জুরিস ডক্টর রাফি ইসলামের এই প্রকল্পটির প্রশংসা করে বলেন, ‘সরকারের একার পক্ষে দারিদ্রতা দূর করা সম্ভব নয়। রাফি ইসলামের মতো সমাজের দানশীল ব্যক্তিরা নানান কর্মসূচি নিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়ালে সমাজ থেকে দারিদ্রতা দূর করা সহজ হবে।’ পরে তিনি দরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম ও প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী স্থানীয় প্রতিনিধি মো. ইউছুফ খান সাগর।

ফাস্ট ফর হাঙ্গার প্রকল্পের আওতায় দরিদ্রদের মাঝে ৫০ হাজার বেলার খাবার বিতরণপূর্তির অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জুরিস ডক্টর রাফি ইসলাম।
জুরিস ডক্টর রাফি ইসলাম তার বক্তব্যে এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, ‘যারা খুবই দরিদ্র, যাদের একবেলা-দুবেলা খাবার জুটে না, এমন অতিদরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্পটি শুরু করি ২০১৬ সালে। সারা বছর সপ্তাহে একদিন রোজা রেখে ও আরেকদিন দুপুরের খাবার না খেয়ে এবং দৈনন্দিন জীবনের নানা খরচের দুয়েকটা খাতে খরচ কমিয়ে প্রথম ১০ জন দরিদ্রকে প্রতি সপ্তাহে বিনামূল্যে ২ কেজি করে চাল দিয়ে এ প্রকল্প শুরু করেছিলাম। পরবর্তীতে আমার সহোদর আমেরিকা প্রবাসী চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম শুভ কফি খাওয়া এবং অন্যান্য খরচ কমিয়ে সেই টাকা এই প্রকল্পে দিচ্ছেন। এ প্রকল্প দেখে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু শোভাকাঙ্খীরাও এই তহবিলে সহায়তা দিচ্ছেন। এখন এই প্রকল্পের উপকারভোগী রয়েছেন ৭০ জন। সবাইকে কার্ড দেওয়া আছে। প্রতি সপ্তাহের নির্ধারিত দিনে শহরের নির্ধারিত দোকান থেকে কার্ড দেখিয়ে তারা দুই কেজি করে চাল তুলে নেন। রমজান মাস উপলক্ষে তাদের জন্য আধা কেজি করে চাল বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

ফাস্ট ফর হাঙ্গার প্রকল্পের আওতাভুক্ত দরিদ্র উপকারভোগী নারীরা। 
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে প্রকল্পটির আওতায় ৫০ হাজার বেলার খাদ্য বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা গত মার্চে অর্জিত হয়েছে। এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমাদের এই কার্যক্রমের সাথে যে কেউ যুক্ত থাকতে পারেন। আপনারা আপনাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকা থেকে দুয়েক প্রকারের খাবার বাদ রেখে, কোনো পারিবারিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানের খাবারের তালিকা থেকে দুয়েক প্রকারের খাবার না খেয়ে সেই খাবার থেকে বাঁচানো টাকা আমাদের ফাস্ট ফর হাঙ্গার প্রকল্পের তহবিলে জমা দিয়ে যে কেউ হতদরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণে এগিয়ে আসতে পারেন। আমাদের ওয়েব সাইট, ফেসবুক পেজ, ইমেইল এবং ফোনে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। এই তহবিলে কেউ অনুদান দিতে চাইলে বিকাশ করা যাবে।

অনুষ্ঠানে সুধী ও সাংবাদিকবৃন্দ এবং অতিদরিদ্র ৭০ জন নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগের মাধ্যম :
বিকাশ : 01758223336,
লোকাল ফোন : 01758914147
ইমেইল : fasthungerproject@gmail.com
ওয়েব সাইট : www.fasthungerproject.com

FAST FOR HUNGER PROJECT, CONSCIOUSNESS IS CHANGING THE WAY THE WORLD TACKLES POVERTY
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন!

Post a Comment

আগের পোস্ট পরের পোস্ট

نموذج الاتصال