২৮ অক্টোবর দেওয়ানগঞ্জ কামিল মাদরাসা মাঠে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির ওয়াজ মাহফিলে কালেমা পড়ে মুসলমান হন তারা। ধর্মান্তরিত ব্যক্তিদের বাড়ি পৌর শহরের পূর্ব চুনিয়াপাড়া গুচ্ছ গ্রামে। তাদের জায়গা জমি না থাকায় গুচ্ছ গ্রামে পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
ধর্মান্তরিত ব্যক্তিদের মধ্যে শ্রী চন্দ্রনের (৩৮) নাম রাখা হয়েছে মো. আমজাদ হোসেন, তার স্ত্রী শ্রী শিখা রাণীর (৩২) নাম মোছা. শিখা আক্তার, তাদের দুই কন্যা সন্তান অনিতা রাণীর (১৪) নাম মোছা. আছিয়া খাতুন, ছোট মেয়ে পূর্ণিমা প্রেরণার (৭) নাম মোছা. পূর্ণিমা আক্তার রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, ধর্মান্তরিত ব্যক্তিরা গত ২৭ অক্টোবর জামালপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য এফিডেভিট করেন। পরে ২৮ অক্টোবর রাতে দেওয়ানগঞ্জ কামিল মাদরাসা মাঠে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলের প্রধান অতিথি শায়েখে চরমোনাই সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কালেমা পাঠ করেন।
ধর্মান্তরিত মো. আমজাদ হোসেন বলেন, গোটা বিশ্বের সৃষ্টিকারী মহান আল্লাহ। তিনি এক। তার কোনো শরিক নেই। তার মনোনিত ধর্ম ইসলাম। এ ধর্মে যেমন রয়েছে সত্য বিধান। তার প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল মুহাম্মদ (সা.) আদর্শের জ্বলন্ত প্রতীক। আগে থেকেই আমি এ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত। আজ স্বপরিবারে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। ইসলামের বিধান অনুযায়ী জীবন গড়তে আমি সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।
মোছা. শিখা আক্তার বলেন, আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি আমার ইচ্ছায়। স্বামী বা কারও চাপে ধর্মান্তরিত হইনি। ইসলাম ধর্মের প্রতি আমি অনেক আগে থেকেই দুর্বল ছিলাম। ধর্মান্তরিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। আল্লাহর একত্ববাদে থেকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাই।
দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন বলেন, শ্রী চন্দন স্বপরিবারে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হয়েছেন। তার এই পরিবর্তনের মানসিকতাকে শ্রদ্ধা জানাই। আমরা এলাকাবাসী তাদেরকে সহযোগিতা করব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, সংবাদটি আমি শুনেছি। আমজাদ হোসেন পরিবার নিয়ে সনার্তন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। দরিদ্র পরিবারকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।