কর্মশালায় প্রধান সঞ্চালক ও আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অপরাজেয় বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা বিন্দিয়া আগ। এতে অংশ নেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুন্নাহার, জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসাইন, জেলা জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, জামালপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জোৎস্না বেগম, অপরাজেয় বাংলাদেশের জামালপুর কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মো. আশরাফুল ইসলাম, আশার শাখা ব্যবস্থাপক শহীদ আলী, বেসরকারি সংস্থা গণচেতনার প্রকল্প সমন্বয়কারী ফাতেমা নার্গিস, তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থার সভাপতি শামীমা খান, এফপিএবির কর্মসূচি সমন্বয়কারী মাহীনূর সিদ্দিকা, প্রত্যাশা মহিলা সমিতির সভাপতি শামীমা বেগম রুবী, নারী উদ্যোক্তা সাজেদা পারভীন ঝিনুক ও লার্জিনা আক্তার, সাবেক কাউন্সিলর স্বপ্না আক্তার লিপি, সাংবাদিক মোস্তফা মনজু, সাংবাদিক এম সুলতান আলম, উদ্দীপনের শাখা ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল হামিদ প্রমুখ।
জামালপুরে নারী যৌনকর্মীদের মানবিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ অক্টোবর রবিবার বিকালে অপরাজেয় বাংলাদেশের আয়োজনে জামালপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইউএন ওমেন এর আর্থিক সহায়তায় সংযোগ প্রকল্পের আওতায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে অপারাজেয় বাংলাদেশ।
কর্মশালায় জামালপুর রানীগঞ্জ যৌনপল্লীর নারী যৌনকর্মীদের নানা সমস্যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। তাদেরকে পুনর্বাসন, স্বাস্থ্যসুরক্ষা, মানবিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল গঠনের প্রস্তাব করা হয়। এছাড়াও ওই যৌনপল্লীতে মাদক, অপহরণ করে আনা শিশুকিশোরীদের নির্যাতন, পাচার ও যৌনবৃত্তিতে বাধ্য করাসহ সেখানে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ দমনে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আলোচনাও উঠে আসে কর্মশালায়।