চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্বের শেষ
ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে
সেমিফাইনালে উঠে যায় মাশরাফি বাহিনী। আইসিসির আসরে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ
অর্জন। অবশ্য ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার শেষ খেলায় ইংল্যান্ডের জয়েই সেমিফাইনালের চূড়ান্ত টিকিট পায় বাংলাদেশ।
কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে
নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৬৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৩ রানেই ৪
উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। নিশ্চিত হারতে থাকে ম্যাচ সাকিব আল হাসান ও
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২২৪ রানের জুটি গড়ে ৫ উইকেটের অসাধারণ জয় তুলে নেন। সেই
সাথে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন দুজনেই।
এদিকে
মাহমুদুল্লাহর ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরির সাথে সমানতালে আলোচনা হচ্ছে তার
শতকের উদযাপন নিয়ে। কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর
মাহমুদুল্লাহ তার ব্যাট উচিয়ে ড্রেসিং রুমের দিকে কিছু একটা ইঙ্গিত
করেছিলেন। অনেকেই ভেবেছিলেন ব্যাটে হয়তোবা তারই সতীর্থ্য কোনো খেলোয়াড়ের
সাক্ষর আছে। অথবা স্পেশাল কেউ একজন এই ব্যাট দিয়ে ব্যাট করতে বলেছিলেন
তাকে। যা তার জন্য এই বৈশ্বিক আসরে সৌভাগ্য বয়ে এনেছে।
তবে সত্যি ঘটনায় যানা গেল। মাহমুদুল্লাহ সেঞ্চুরি করে ব্যাট তুলে তার ৬ বছরের ছেলে রাঈদকে ইঙ্গিত করছিলেন। রাঈদই তার বাবা মাহমুদুল্লাহকে এই বৈশ্বিক আসরে এই ব্যাটটি দিয়ে খেলতে বলেছিলেন। দেশ থেকে ইংল্যান্ড আসার সময় তার ছেলে রাঈদ একটি ব্যাটে তার নাম লিখে বলেছিল, এই ব্যাট দিয়ে খেললে মাহমুদুল্লাহ ভালো খেলতে পারবেন। এবার হলোও তাই।
এই প্রসঙ্গে মাহমুদুল্লাহ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এবার ইংল্যান্ডে আসার আগে ব্যাগ গোছাচ্ছিলাম। আমার ছেলে পাশে থেকে দেখছিল। হঠাৎ একটি ব্যাট নিয়ে ছেলেটা ওর নাম লিখল ব্যাটে। আমাকে বললো, বাবা এই ব্যাট দিয়ে খেলো, ভালো খেলতে পারবে। আমি ওই ব্যাট দিয়েই খেলেছি। সেঞ্চুরির পর ছেলের কথাটিই বোঝাতে চেয়েছিলাম।
ছেলের অনুরোধেই মাহমুদুল্লাহর ভাগ্য খুলে গেছে। এই টাইগার ক্রিকেটারের অপরাজিত সেঞ্চুরি কল্যাণেই বাংলাদেশ দল ৫ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। মাহমুদুল্লাহর ১০৭ বলে ১০২ রানের ইনিংসটি ২ ছয় ও ৮ চারে সাজানো ছিলো। এটি কিউইদের বিপক্ষে এই টাইগার ডানহাতি ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় শতক। এর আগেরটি ছিলো ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে।
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন!