আজিজুর রহমান ডল॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য, প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াদা দিয়েছিলেন আবার ক্ষমতায় এলে ২০২১ সালের মধ্যে এই দেশকে ডিজিটাল দেশে পরিণত করবেন। আজকে চার বছর বাকি থাকতেই বাংলাদেশ ডিজিটাল জগতে ঢুকে গেছে। এই যে ডিজিটাল সুবিধা দেশের মানুষ পাচ্ছে, তার কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের। জয় বুদ্ধি দিয়ে, সঠিক পরিকল্পনা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জয় কিন্তু হাওয়া ভবন করেননি। জয় কোনো কমিশন নেন না। দিন-রাত পরিশ্রম করে জয় দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জয় আজ বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন।
![]() |
| বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। ছবি : জামালপুরিয়ান |
প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তার ছেলে তারেক জিয়া হাওয়া ভবন করে বিকল্প সচিবালয় বানিয়ে বসে বসে কমিশন আদায় করতো। দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। ২০০৪ সালে ঢাকায় আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতাদের হত্যার জন্য যে নয়টি গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল সেই গ্রেনেড হাওয়া ভবন থেকেই জঙ্গি মুফতি হান্নানকে দেওয়া হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম সোমবার বিকেলে মেলান্দহ উপজেলার উমির উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সুজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান চান, মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র শফিক জাহেদী রবিন, মেলান্দহ পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজি দিদার পাশা, মেলান্দহ পৌর শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুল্লাহ ফারাজী, মেলান্দহ বণিক সমিতির সভাপতি ইসমত পাশা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জিন্নাহ।
প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম সোমবার বিকেলে মেলান্দহ উপজেলার উমির উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সুজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান চান, মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র শফিক জাহেদী রবিন, মেলান্দহ পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজি দিদার পাশা, মেলান্দহ পৌর শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুল্লাহ ফারাজী, মেলান্দহ বণিক সমিতির সভাপতি ইসমত পাশা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জিন্নাহ।
![]() |
| সভামঞ্চে প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ চৌধুরী ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। ছবি : জামালপুরিয়ান |
প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, আমরা সেই আওয়ামী লীগ করি। এই দলের জন্য গর্বে আমাদের মন ভরে যায়। আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে ১৯৪৯ সালে মাওলানা ভাসানীর হাত ধরে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ছয়দফা আন্দোলনের ডাক দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিয়েছিলেন। পাকিস্তান সরকার তাকে ফাঁসি দিতে চেয়েছিল। আন্দোলনের মুখে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্ম পাকিস্তানে। খালেদা জিয়ার জন্ম হয়েছে ভারতের কুচবিহারে। তারেক রহমানের জন্মও হয়েছে পাকিস্তানে। জিয়াউর রহমান পাক মেজর হিসেবে ১৯৬২ সালে চাকরিতে ঢুকে। পাকিস্তানী বলেই পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তাকে ঢাকায় পাঠায়। কারণ আইএসআই বাঙালিদের বিশ্বাস করতো না। সেনাবাহিনীতে চাকরিকালীন কর্নেল এম এ জি ওসমানী জিয়াকে দুইবার সাসপেন্ড করেছিল। খালেদা জিয়া ১৯৭১ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে জিয়ার এক বন্ধু সেনাকর্মকর্তা জাং জোয়াকে আঁচলের তলে নিয়ে ঢাকা শহরে ঘুরেছে। জিয়ার বন্ধু ওই জাং জোয়ার সাথে খালেদা জিয়া বসবাস করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্ম পাকিস্তানে। খালেদা জিয়ার জন্ম হয়েছে ভারতের কুচবিহারে। তারেক রহমানের জন্মও হয়েছে পাকিস্তানে। জিয়াউর রহমান পাক মেজর হিসেবে ১৯৬২ সালে চাকরিতে ঢুকে। পাকিস্তানী বলেই পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তাকে ঢাকায় পাঠায়। কারণ আইএসআই বাঙালিদের বিশ্বাস করতো না। সেনাবাহিনীতে চাকরিকালীন কর্নেল এম এ জি ওসমানী জিয়াকে দুইবার সাসপেন্ড করেছিল। খালেদা জিয়া ১৯৭১ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে জিয়ার এক বন্ধু সেনাকর্মকর্তা জাং জোয়াকে আঁচলের তলে নিয়ে ঢাকা শহরে ঘুরেছে। জিয়ার বন্ধু ওই জাং জোয়ার সাথে খালেদা জিয়া বসবাস করেছে।
![]() |
| বর্ধিত সভায় নেতা-কর্মীবৃন্দ। ছবি : জামালপুরিয়ান |
প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জিয়াউর রহমান এ কারণে খালেদা জিয়াকে ঘরে নিতে চায়নি। ভারতে চলে যেতে বলেছিল। খালেদা জিয়াই একদিন বঙ্গবন্ধুর কাছে বিচার নিয়ে যান। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে গিয়ে বললে বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনাকে বলে ওর সাথে গল্প কর। জিয়া আসতেছে। খালেদা জিয়াকে ঘরে নিতে বললে জিয়া বঙ্গবন্ধুকে বলেছিল পাকসেনাদের সাথে নয়মাস ঘর করেছে তাকে নেই কি করে। তখন বঙ্গবন্ধু জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তুমি যদি তোমার স্ত্রীকে না নাও তাহলে মুক্তিযুদ্ধে ২ লাখ ৭০ হাজার মা-বোনের ইজ্জতের কি হবে। না নিলে চাকরিচ্যূত করা হবে তোমাকে। পরে চাকরির লোভে খালেদাকে ঘরে নিয়ে যান। আর সেদিন শেখ হাসিনার স্বামী বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ তার গাড়িতে করে জিয়া এবং খালেদাকে তাদের বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসেন।
প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সাথে জিয়াউর রহমানও জড়িত ছিল। জিয়াউর রহমান খেতাবধারী এক হাজার ৩০০ মুক্তিযোদ্ধাকে এক এক করে হত্যা করেন। শুধু তাই নয়, কারাবন্দি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়েছিলেন। স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদও তাই করেছিল।
প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুরের পাঁচটি আসনেই নৌকা প্রতীকের বিজয় ঘরে আনতে হবে। আর যদি আপনারা প্রস্তুত না থাকেন। তাহলে এই দেশে কারা ক্ষমতায় আসবে। একাত্তুরের পরাজিত শক্তি রাজাকার আলবদর ও তাদের দোসর বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসবে। তারা যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে রোহিঙ্গাদের মতো আপনাদেরও একটা একটা করে মারবে। তিনি সকল প্রকার বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ও সজাগ থাকার আহবান জানান।
বর্ধিত সভা শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্যপদ নবায়ন ও সদস্য অন্তর্ভুক্তির আবেদন ফরম বিতরণ করা হয়। প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমও তার সদস্য ফরম সংগ্রহ করেন।
প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সাথে জিয়াউর রহমানও জড়িত ছিল। জিয়াউর রহমান খেতাবধারী এক হাজার ৩০০ মুক্তিযোদ্ধাকে এক এক করে হত্যা করেন। শুধু তাই নয়, কারাবন্দি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়েছিলেন। স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদও তাই করেছিল।
প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুরের পাঁচটি আসনেই নৌকা প্রতীকের বিজয় ঘরে আনতে হবে। আর যদি আপনারা প্রস্তুত না থাকেন। তাহলে এই দেশে কারা ক্ষমতায় আসবে। একাত্তুরের পরাজিত শক্তি রাজাকার আলবদর ও তাদের দোসর বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসবে। তারা যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে রোহিঙ্গাদের মতো আপনাদেরও একটা একটা করে মারবে। তিনি সকল প্রকার বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ও সজাগ থাকার আহবান জানান।
বর্ধিত সভা শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্যপদ নবায়ন ও সদস্য অন্তর্ভুক্তির আবেদন ফরম বিতরণ করা হয়। প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমও তার সদস্য ফরম সংগ্রহ করেন।
সার্চ শব্দ: mirza azam, parul press, jamalpur news, jamalpur portal, online jamalpur, news, politics, রাজনীতি, জামালপুর, melandah
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন!



