বৃটিশবিরোধী সংগ্রাম-আন্দোলনে কিংবদন্তীতুল্য নেতা, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক স্বদেশ নির্মাণের অন্যতম পুরোধা, কৃষক আন্দোলনের নেতা এবং জামালপুর গান্ধী আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা নাসির সরকারের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল ৭ নভেম্বর। মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের কাপাসহাটিয়া গ্রামে জামালপুর গান্ধি আশ্রম ও মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে তার মৃত্যুবার্ষিক পালিত হয়।
অনুষ্ঠানে মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘরের পরিচালক উৎপল কান্তি ধর, ট্রাস্টি হিল্লোল সরকার, ট্রাস্টি হামিদুল হক দোদুল, শিক্ষাবিদ জয়নাল আবেদিন প্রমুখ আলোচনা পর্বে অংশ নেন। আলোচনা শেষে তার কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
নাসির সরকার ১৮৯২ সালে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের কাপাসহাটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাল্যকালে তার স্কুলশিক্ষক অক্ষয় কুমার কাহালীর কাছে স্বদেশপ্রেমের দীক্ষা নিয়ে স্বদেশী আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। ১৯৩১ সালে জামালপুর মহকুমা কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৩০ সালে আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়ে কারাবরণ করেন। তিনি গণতন্ত্রীদল ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ছিলেন। ১৯৩৫ সালে ঝাউগড়া ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৪৬ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচনে মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ-সরিষাবাড়ী এলাকা থেকে কংগ্রেসের পক্ষে প্রার্থী হন। সে সময় মেলান্দহে নির্বাচনী প্রচারণা সভাশেষ করে রাতে বাড়ি ফেরার পথে মেলান্দহ-মালঞ্চ বাজারের কাছে মুসলিমলীগের গুন্ডাবাহিনী নাসির সরকারকে আক্রমণ করে তাকে গুরুতর আহত করে এবং নাসির সরকারকে মৃত মনে করে জঙ্গলে ফেলে রেখে যায়। ওই হামলায় নাসির সরকারের বুকের পাঁজর ভেঙে যায়। প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর হামলায় নাসির সরকারের বুকের পাঁজর ভাঙলেও কখনো মন ভাঙেনি তার। অসুস্থ অবস্থায় পাকিস্তান শাসন আমলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
১৯৪৭ সালে দেশ-বিভাগের পর তৎকালীন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তার কাছে ভারত চলে যাওয়ার প্রস্তাব আসে। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ থেকে এ প্রস্তাব তিনি সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেন। বড় কন্যা রাজিয়া খাতুন ও পুত্র মোয়াজ্জেম হোসেন পিতার হাত ধরে যুক্ত হন বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে। ১৯৭১ সালে কাপাসহাটিয়ায় নাসির সরকারের বাড়িটিও গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনিসহ পরিবারের সদস্যরা। তারা বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় ও খাদ্য যুগিয়েছেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর হুলিয়া মাথায় নিয়ে আওয়ামী লীগ, ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টির অগণিত নেতা-কর্মী নাসির সরকারের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। নাসির সরকারের বাড়িতেই গান্ধী আশ্রমের পাশাপাশি সকলের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘর। নাসির সরকার ১৯৭৭ সালে ৭ নভেম্বর নিজ বাড়িতেই ৮৪ বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘরের পরিচালক উৎপল কান্তি ধর, ট্রাস্টি হিল্লোল সরকার, ট্রাস্টি হামিদুল হক দোদুল, শিক্ষাবিদ জয়নাল আবেদিন প্রমুখ আলোচনা পর্বে অংশ নেন। আলোচনা শেষে তার কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
নাসির সরকার ১৮৯২ সালে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের কাপাসহাটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাল্যকালে তার স্কুলশিক্ষক অক্ষয় কুমার কাহালীর কাছে স্বদেশপ্রেমের দীক্ষা নিয়ে স্বদেশী আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। ১৯৩১ সালে জামালপুর মহকুমা কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৩০ সালে আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়ে কারাবরণ করেন। তিনি গণতন্ত্রীদল ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ছিলেন। ১৯৩৫ সালে ঝাউগড়া ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৪৬ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচনে মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ-সরিষাবাড়ী এলাকা থেকে কংগ্রেসের পক্ষে প্রার্থী হন। সে সময় মেলান্দহে নির্বাচনী প্রচারণা সভাশেষ করে রাতে বাড়ি ফেরার পথে মেলান্দহ-মালঞ্চ বাজারের কাছে মুসলিমলীগের গুন্ডাবাহিনী নাসির সরকারকে আক্রমণ করে তাকে গুরুতর আহত করে এবং নাসির সরকারকে মৃত মনে করে জঙ্গলে ফেলে রেখে যায়। ওই হামলায় নাসির সরকারের বুকের পাঁজর ভেঙে যায়। প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর হামলায় নাসির সরকারের বুকের পাঁজর ভাঙলেও কখনো মন ভাঙেনি তার। অসুস্থ অবস্থায় পাকিস্তান শাসন আমলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
১৯৪৭ সালে দেশ-বিভাগের পর তৎকালীন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তার কাছে ভারত চলে যাওয়ার প্রস্তাব আসে। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ থেকে এ প্রস্তাব তিনি সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেন। বড় কন্যা রাজিয়া খাতুন ও পুত্র মোয়াজ্জেম হোসেন পিতার হাত ধরে যুক্ত হন বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে। ১৯৭১ সালে কাপাসহাটিয়ায় নাসির সরকারের বাড়িটিও গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনিসহ পরিবারের সদস্যরা। তারা বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় ও খাদ্য যুগিয়েছেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর হুলিয়া মাথায় নিয়ে আওয়ামী লীগ, ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টির অগণিত নেতা-কর্মী নাসির সরকারের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। নাসির সরকারের বাড়িতেই গান্ধী আশ্রমের পাশাপাশি সকলের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘর। নাসির সরকার ১৯৭৭ সালে ৭ নভেম্বর নিজ বাড়িতেই ৮৪ বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন!