॥নাছিমা আক্তার॥
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ! আজ বড় বেশি বিচলিত হয়ে তোমাদের জন্য লিখতে বসেছি। গত কয়েকটি বছর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মত ন্যাক্কারজনক, ঘৃণ্য ও জঘন্যতম ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। একটা মহল যেন উম্মাদ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে। এখন পুরো রাষ্ট্র দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা সবাই।
প্রিয় শিক্ষার্থী, দেশটা আমাদের সবার। আমরা জানি পরীক্ষা নিয়ে তোমরা টেনশন করো। তোমাদের পিতামাতারাও অনেক বিচলিত বোধ করেন। তাদেরও প্রত্যাশা থাকে অনেক বেশি তোমাদের ভালো ফল অর্জনের জন্য। কিন্তু তাই বলে প্রশ্নফাঁসের মত ন্যাক্কারজনক কোনো কাজের সমর্থন দিয়ো না তোমরা। এটি তোমাদের কাছে আমার, আমাদের আকুল নিবেদন। নিজের বিবেককে জাগিয়ে তোলো। একটু ভাবো, চিন্তা করো। যে বা যারা তোমাদের কাছে ফাঁস করা প্রশ্ন যোগান দিচ্ছে সে বা তারা তোমার সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের সবচেয়ে বড় শত্রু। ওরা বাংলার শত্রু। তোমার ও দেশের এই শত্রুর মোকাবেলার দায়িত্ব কাঁধে নাও। ধিক্কার জানাও এইসব নরপশুদের। ওদের ধরিয়ে দাও আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কাছে। ওদের মুখে থুতু ছিটাও সে তোমার যেই হোক। বয়কট কর।
প্রিয় শিক্ষার্থী, তোমাদের দিকে আকুল নয়নে তাকিয়ে আছে আমাদের প্রিয় স্বদেশ, আমাদের মা। দেশ তো মা'ই হন আমাদের। তোমাদের এবং তোমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি চমৎকার সুন্দর উন্নত দক্ষ মেধাবী বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই। তার জন্য তোমাদের স্বার্থেই তোমাদের সাহায্য লাগবে।
নইলে যে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র চালাতে দক্ষ জনশক্তি আমদানি করতে হবে আমাদের। আর সেটিই হবে চরম দুর্ভাগ্যের তোমার আর তোমার সন্তানদের জন্য।আর এটি হতে দেওয়া যাবে না বাবা। তোমরা নিশ্চয়ই চাওনা যে তোমরা বা তোমাদের সন্তানেরা অন্যদেশ থেকে আনা কোনো কর্মকর্তার অধীনস্থ হয়ে থাকো।
তাই স্মরণ করো ৭১ এর উত্তাল দিনগুলোর কথা। হে বীরের প্রজন্ম! হে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের উপযুক্ত উত্তরসূরি! এখনই সময়, তোমাদের ভবিষ্যৎ বিনষ্টকারী ওইসব নরপিশাচদের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করো। ওদের বয়কট করো। ঘৃণা করো। ওদের ধরিয়ে দিতে সরকারকে সাহায্য করো।
লেখক : প্রধান শিক্ষিকা, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।
শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সফল জয়ীতা, ময়মনসিংহ বিভাগ।
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ! আজ বড় বেশি বিচলিত হয়ে তোমাদের জন্য লিখতে বসেছি। গত কয়েকটি বছর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মত ন্যাক্কারজনক, ঘৃণ্য ও জঘন্যতম ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। একটা মহল যেন উম্মাদ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে। এখন পুরো রাষ্ট্র দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা সবাই।
প্রিয় শিক্ষার্থী, দেশটা আমাদের সবার। আমরা জানি পরীক্ষা নিয়ে তোমরা টেনশন করো। তোমাদের পিতামাতারাও অনেক বিচলিত বোধ করেন। তাদেরও প্রত্যাশা থাকে অনেক বেশি তোমাদের ভালো ফল অর্জনের জন্য। কিন্তু তাই বলে প্রশ্নফাঁসের মত ন্যাক্কারজনক কোনো কাজের সমর্থন দিয়ো না তোমরা। এটি তোমাদের কাছে আমার, আমাদের আকুল নিবেদন। নিজের বিবেককে জাগিয়ে তোলো। একটু ভাবো, চিন্তা করো। যে বা যারা তোমাদের কাছে ফাঁস করা প্রশ্ন যোগান দিচ্ছে সে বা তারা তোমার সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের সবচেয়ে বড় শত্রু। ওরা বাংলার শত্রু। তোমার ও দেশের এই শত্রুর মোকাবেলার দায়িত্ব কাঁধে নাও। ধিক্কার জানাও এইসব নরপশুদের। ওদের ধরিয়ে দাও আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কাছে। ওদের মুখে থুতু ছিটাও সে তোমার যেই হোক। বয়কট কর।
প্রিয় শিক্ষার্থী, তোমাদের দিকে আকুল নয়নে তাকিয়ে আছে আমাদের প্রিয় স্বদেশ, আমাদের মা। দেশ তো মা'ই হন আমাদের। তোমাদের এবং তোমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি চমৎকার সুন্দর উন্নত দক্ষ মেধাবী বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই। তার জন্য তোমাদের স্বার্থেই তোমাদের সাহায্য লাগবে।
নইলে যে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র চালাতে দক্ষ জনশক্তি আমদানি করতে হবে আমাদের। আর সেটিই হবে চরম দুর্ভাগ্যের তোমার আর তোমার সন্তানদের জন্য।আর এটি হতে দেওয়া যাবে না বাবা। তোমরা নিশ্চয়ই চাওনা যে তোমরা বা তোমাদের সন্তানেরা অন্যদেশ থেকে আনা কোনো কর্মকর্তার অধীনস্থ হয়ে থাকো।
তাই স্মরণ করো ৭১ এর উত্তাল দিনগুলোর কথা। হে বীরের প্রজন্ম! হে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের উপযুক্ত উত্তরসূরি! এখনই সময়, তোমাদের ভবিষ্যৎ বিনষ্টকারী ওইসব নরপিশাচদের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করো। ওদের বয়কট করো। ঘৃণা করো। ওদের ধরিয়ে দিতে সরকারকে সাহায্য করো।
লেখক : প্রধান শিক্ষিকা, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।
শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সফল জয়ীতা, ময়মনসিংহ বিভাগ।
জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক-২০১৭।
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন!