আজিজুর রহমান ডল :: জামালপুর জেলার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় এবার জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মেলান্দহ পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর মধ্য দিয়ে মেলান্দহ পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প বরাদ্দ ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পৌরনাগরিকসেবা বৃদ্ধি করে একটি আদর্শ পৌরসভা গড়ে তোলার এক নতুন দ্বার উম্মোচিত হলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম সারা জেলায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় মেলান্দহ পৌরসভায় নাগরিক সেবাবৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এরই অংশ হিসেবে ২০১১ সালের ৩১ মে তারিখের ৮১১ নম্বর পরিপত্র মোতাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ফারজানা মান্নান স্বাক্ষরিত ২৪ অক্টোবর জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে মেলান্দহ পৌরসভাকে ‘খ’ শ্রেণি থেকে ‘ক’ শ্রেণি অর্থাৎ দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত করে আদেশ জারি করা হয়েছে।
মেলান্দহ পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হওয়ায় মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ শফিক জাহেদী রবিন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের প্রতি প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন। মেয়র মোহাম্মদ শফিক জাহেদী রবিনের নেতৃত্বে ২৫ অক্টোবর বিকেলে পৌরবাসীকে শুভেচ্ছা জানাতে বের হয় আনন্দ মিছিল। মিছিলে মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চান, আওয়ামী লীগ নেতা কিসমত পাশা, হাজি দিদার পাশা, নাট্যকার ও আওয়ামী লীগনেতা আসাদুল্লাহ ফারাজী, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারহান জাহেদী সফেনসহ সর্বস্তরের পৌরবাসী এ আনন্দ মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে পৌরসভা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মেয়র মোহাম্মদ শফিক জাহেদী রবিন মেলান্দহ পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদায় তালিকাভুক্ত করার জন্য মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হওয়ায় পৌরবাসীর সেবার মানবৃদ্ধির এক নতুন দ্বার উম্মোচিত হলো।
উল্লেখ্য, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়ে ৬৪টি জেলার মধ্যে ১০টি উন্নত জেলার তালিকায় জামালপুর জেলাকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সাথে জামালপুর জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প এবং জেলার উন্নয়ন ও পরিচিতির তালিকায় যুক্ত হয়েছে ৩৭ কোটি টাকার পাট গবেষণা উপকেন্দ্র প্রকল্প। এ ছাড়া শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী, শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ বেশ কয়েকটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দুটি ইপিজেড, তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ, কামালপুর স্থলবন্দরের আধুনিকায়ন, তিনটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। একনেকে অনুমোদন পেয়েছে ৬০ কোটি ৮১ লাখ ১৭ হাজার টাকার ‘ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট প্রকল্প’। সব মিলিয়ে সারা জেলায় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কোনো কোনো প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিমাসেই যুক্ত হচ্ছে আরও নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প।
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন!