জামালপুরে আন্ত:নগর অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে শ্যালোইঞ্জিন চালিত নছিমন গাড়ির সংঘর্ষে নছিমনের চালকসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল পৌনে চারটার দিকে সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের দামেশ্বর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিশু মাসুদ। ছবি : জামালপুরিয়ান |
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহতরা হলেন- জেলার মেলান্দহ উপজেলার আদিপৈত গ্রামের নছিমনচালক রনি মিয়া (৩০), তার হেলপার জামালপুর শহরের শেখেরভিটা এলাকার হাসু শেখের ছেলে দিপু মিয়া (৪০), সদরের কেন্দুয়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের সোহেল মিয়ার ছেলে বাকপ্রতিবন্ধী সুমন মিয়া (১২) ও একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মাসুদ (১৩)। তাদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, নছিমনচালক রনি মিয়া ও হেলপার দিপু মিয়া ভাড়ায় ইট পরিবহন করেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি কেন্দুয়া ইউনিয়নের দামেশ্বর এলাকায় ক্রেতার বাড়িতে ইট পৌঁছে দিয়ে ফের ইটভাটায় যাচ্ছিলেন। পথে দুই শিশু সুমন ও মাসুদ দৌঁড়ে লাফিয়ে নছিমনে উঠে। বেলা পৌনে ৪টার দিকে নছিমন গাড়িটি দামেশ্বর গ্রামে রেললাইনের ওপর দিয়ে যাওয়া কাঁচা রাস্তা অতিক্রম করার সময় দ্রুতগামী আন্ত:নগর অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে নছিমন গাড়িটির সংঘর্ষ হয়। এতে নছিমনটি ভেঙে ছিটকে পড়ে ওই নছিমনের চালকসহ আরোহী চারজন গুরুতর আহত হয়।
খবর পেয়ে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে এ দুর্ঘটনায় ট্রেনটির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সৌমিত্র কুমার বণিক বলেন, গুরুতর আহত চারজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন!