কয়েকদিন ধরেই খেয়াল করছি তার এই অবস্থা। কিন্তু সে এরকম মোটেও ছিল না। দুমাস আগেও সে হেসেছে। আমার মুঠোফোনে ছবি তুলেছিলাম। এসডি কার্ডে আছে এখনও।
মেধাদের একজন শিক্ষিকার কাছ থেকে তাকে চেয়ে এনেছিল আম্মা। বারান্দার সিঁড়ির পাশে ঠাঁই হয়েছিল তার। সতেজ ছিল তার হাসি।
কিন্তু আজ সব মলিন। হাসি নিশ্চিহ্ন। তিনটি ডাল নিয়ে শুকিয়ে গেছে নয়নতারা। ছেলেরা গুলতি বানায় না? সেই গুলতির মত আকার। তবে সে নরম। তাকে দিয়ে ও বানানো যাবে না।
দুই ডালের মাঝ দিয়ে আরেকটি ডাল বাঁকা হয়ে মাটির দিকে ঝুঁকে আছে। ওই দুই ডালের উপরের দিকে নিজেরাও আবার গুলতি আকার। একটি বড় আরেকটি ছোট।
খয়েরি হলুদ খাকির এক মিশ্রণে তার রূপ। গোড়ার দিকে কিছু শ্যাওলা জমে গেছে।
নখ দিয়ে ঘঁষে দেখলাম। নাহ, শুকিয়েই গেছে। গোড়ার দিকেও। তবে শক্ত। উঠে আসলো না বা ভেঙ্গে গেল না।
আরও নিশ্চিত হতে বিলেড দিয়ে চেঁছে দেখি একদম কাঠই। তার মানে, মরেই গেছে সে! অতিবৃষ্টি মনে হয় সহ্য করতে পারে নি।#
বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০, দুপুর ১টা ৪৩
পশ্চিম ফুলবাড়িয়া, জামালপুর