জামালপুরের প্রবীণ আওয়ামী লীগনেতা ও জামালপুর পৌরসভার পাঁচবার নির্বাচিত সাবেক কমিশনার মো. হবিবর রহমান হবি (৭২) আর নেই। ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তিনি ঢাকায় ল্যাব-এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
পারিবারিক সূত্র জানায়, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পাটব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি প্রয়াত হবিবর রহমান হবি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর পৌরসভার নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. ছানোয়ার হোসেন ছানুর বাবা। তিনি জামালপুর পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়াসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুখে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, আওয়ামী লীগনেতা ছানোয়ার হোসেন ছানুসহ তিন ছেলে এবং এক মেয়েসহ অনেক আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ ঢাকা থেকে জামালপুর শহরের পাথালিয়া গ্রামে নিজ বাসভবনে আনা হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, শোভাকাঙ্ক্ষী ও স্বজনরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাসায় ছুটে যান। পরে রাত ১০টায় জামালপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী, আত্মীয়স্বজন ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ জানাজা নামাজে অংশ নেন। জানাজা নামাজ শেষে শহরের পাথালিয়া এলাকায় তার নিজ বাসভবনের সামনে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে প্রবীণ আওয়ামী লীগনেতা হবিবর রহমান হবির মৃত্যুতে প্রবীণ আওয়ামী লীগনেতা সাবেক ভূমিমন্ত্রী মো. রেজাউল করিম হীরা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি, তথ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মো. মুরাদ হাসান এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, জামালপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বিএনপিনেতা শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ গভীর শোক প্রকাশ ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।