আপনাকে স্বাগতম!

আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ।

ভারতের স্বপ্ন গুঁড়ো, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পাকিস্তানের


জয়ের পর পাকিস্তান দলের উল্লাস। ছবি: সংগৃহিত
 ক্রিকেট বোদ্ধাদের সকল হিসাব-নিকাশ উল্টে দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ঘরে তুললো পাকিস্তান। অথচ এক এই টুর্নামেন্টেই যাদের অংশগ্রহণ ছিল অনিশ্চিত। তরুণ কিছু ক্রিকেটারের কাঁধে ভর দিয়ে সেই অসাধ্য সাধন করেছে পাকিস্তান। ১৮০ রানের বড় জয় পেয়েছে তারা।

রোববার ফাইনালে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটে পাঠায় ভারত। তবে সুবিধাটা কাজে লাগায় পাকিস্তানই। তরুণ ক্রিকেটার পাকিস্তান ফাখার জামানের সেঞ্চুরিতে ৩৩৭ রানের বড় সংগ্রহ পায় ভারত। জবাবে ১৫৮ রানেই থেমে যায় ভারতের ইনিংস। মূলত মোহাম্মদ আমিরের প্রথম স্পেলেই শেষ হয়ে যায় ভারতের স্বপ্ন। তিনি একে একে সাজঘরে ফেরত পাঠান রহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও শেখর ধাওয়ানকে।

ফাইনাল ম্যাচে ভারতের ইনিংসের সবচেয়ে পরিচিত ছবি। ছবি: সংগৃহিত
ম্যাচের শুরুতেই মোহাম্মদ আমিরের করা প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রোহিত শর্মাকে। এর পরের ওভার করতে এসে কোহলিকে পয়েন্টে শাদাবের ক্যাচে পরিণত করেন। এর ঠিক আগের বলেই স্লিপে আজহার আলি কোহলির ক্যাচ মিস করেছিলেন। এরপরে ইনিংসের নবম ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে শিখর ধাওয়ানকে ক্যাচে পরিণত করেন মোহাম্মদ আমির। এর পরে ১৩তম ওভারের শেষ বলে যুবরাজ সিংকে এলবিডব্লিউ করেন শাদাব খান। পরের ওভারেই হাসান আলির বলে পয়েন্টে ক্যাচ দেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এর পর হার্ডিক পান্ডে ৪৩ বলে ৭৬ রানে করে রান আউটে কাটা পড়েন। এর পর ভারতের পরাজয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ফাখার জামানের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ও আজহার, মোহাম্মদ হাফিজের ফিফটিতে ভারতকে ৩৩৯ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। ওপেনার ফাখার ১০৬ বলে ১২টি চার ও ৩ ছক্কায় ১১৪ রান করেন। মাত্র ৪ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে দুটি ফিফটির পর সেঞ্চুরি তুলে নিলেন ২৭ বছর বয়সী এই তরুণ। আরেক ওপেনার আজহার করেন ৫৯, মোহাম্মদ হাফিজ ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন!

Post a Comment

আগের পোস্ট পরের পোস্ট

نموذج الاتصال